
মোঃ মিলন হোসেন ভাঙ্গুরা প্রতিনিধি:
পাবনা, চাটমহর,হান্ডিয়াল উনিয়নের রায়নগর গ্রামের মোঃ আরিফুল ইসলামের তেরো বছরের মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে (০৫-০৮-২০২৫) রাত ৩:০০ ঘটিকার সময় কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায় তারাশ উপজেলার মহেশচোহালি গ্রামের মৃত তসলিম হোসেনের ছেলে নাইম হোসেন।ভুক্তভুগি জানান ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে তার সাথে এক বছরের সম্পর্ক ছিল।পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করার কথা বলে আরিফুল ইসলামের মেয়েকে রাত ৩:০০ ঘটিকার সময় বারি থেকে বের করে নিয়ে যায়।নিয়ে গাড়িতে করে নাটোর এলাকাতে গিয়ে নৌকায় তুলে শারীরিক সম্পর্ক করে পাচারকারী নাইম।এর পরে নাটোর একটি গ্লাব ঘরে অনেক গুলো মেয়ের সাথে রাখে,এবং কয়েকজন ছেলে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।ভুক্তভুগি মেয়ে বাধা দিলে তাকে চেতনা নাশক ঔষধ খাওয়ানো হয়।এরপর তাকে ঢাকাতে নিয়ে যাওয়া হয় পতিতালয়ে বিক্রির উদ্দেশ্য ।
ঢাকাতে দুই দিন রাখার পরে আবারো উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্য রওনা হয় এদিকে মেয়ের বাবা মা বিভিন্ন জায়গায় খোজা খুজির পরে,চাটমোহর ও তারাশ উপজেলা পুলিশের কাছে কোন সহযোগিতা না পেয়ে তারা পরবর্তীতে RAB-12 তে যায়। RAB-12 সিরাজগঞ্জ হাঁটিকুমরুল রোড চত্বর ভুক্তভুগি মেয়েকে অচেতন অবস্থায় ঘাতক দের থেকে উদ্ধার করে।পাচার কারী নাইম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোনোদিন মামলা না হওয়ায় RAB-12 তাঁদের ছেড়ে দেয়।অচেতন মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছু দিন পর সুস্থ হয়।চাটমোহর থানায় নাইম এবং অজ্ঞাতো নামা আরো একজনের নামে মামলা করে ভুক্তভুগির পিতা আরিফুল ইসলাম।অতঃপর চাটমোহর থানা পুলিশ আজকে (২৯-০৮-২০২৫) সকালে নাইমকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে।ভুক্তভুগির পিতা জানান তারা আর্থিক ভাবে দুর্বল হওয়ায় তারা সঠিক বিচার পাচ্ছে না।এবং অনেক হয়রানির শিকার হচ্ছে।