যশোর মাউমা শিক্ষাবোর্ড প্রশাসনিক কার্যক্রমে ধীরগতি কারণ জনবল সংকট

মালিকুজ্জামান কাকা

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে ২৫৩ অনুমোদিত পদের মধ্যে বর্তমানে ১০১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছেন। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। দক্ষ জনবলের অভাবে বোর্ডের দৈনন্দিন কার্যক্রমে মন্থর গতি। এ অবস্থায় কলেজ ও স্কুলের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বোর্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে ২৫৩টি পদ অনুমোদিত। বর্তমানে ১০১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত আছেন। বোর্ডে ৮৫টি নিয়োগযোগ্য শুন্য পদ, ৬৭টি পদোন্নতিযোগ্য শুন্য পদ রয়েছে, যা মিলিয়ে মোট শুন্য পদের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫২। বোর্ডের অধীনে প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কিন্তু জনবল সংকটে প্রশাসনিক কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০ জন কর্মকর্তা বোর্ডে দায়িত্ব পালন করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, চেয়ারম্যান ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম, সচিব এস এম মাহাবুবুল ইসলাম,. পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোঃ আব্দুর মতিন, কলেজ পরিদর্শক এস.এম তৌহিদুজ্জামান,  বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. মোঃ কামরুজ্জামান,  উপ-পরিচালক (হিউমিনিটি) ড. এ এস এম রফিকুর রহমান,  অডিট অফিসার মোঃ খুরশিদ আলম মল্লিক,  উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) মুহাঃ নিয়ামত ইলাহী,  উপ-কলেজ পরিদর্শক মুহাম্মদ রকিবুল ইসলাম,  উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ ডালিম হোসেন।
বোর্ড সূত্র জানায়, বর্তমানে দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান ও সচিব পূর্বে প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি। ফলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বোর্ড কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর ফাইল নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিচ্ছে।
পদসংখ্যা ও শুন্য পদ বিশ্লেষণ:
প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা: ২৫ অনুমোদিত পদের বিপরীতে ২১ জন কর্মরত, ৪টি পদ শুন্য।
দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা: ২৩ অনুমোদিত পদের মধ্যে ১৬ জন কর্মরত, ৭টি পদ শুন্য।
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী: ১২২ অনুমোদিত পদের মধ্যে ৩৮ জন কর্মরত, ৮৪টি পদ শুন্য।
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী: ৮৩ অনুমোদিত পদের মধ্যে ২৬ জন কর্মরত, ৫৭টি পদ শুন্য।
স্বাধীনতার পর থেকে বোর্ডে জনবল সংকট ধীরে ধীরে প্রকট হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালিত হলেও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই শিক্ষাবোর্ডের কার্যক্রমে গতি ফিরিয়ে আনতে এবং প্রশাসনিক জটিলতা দূর করতে স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial