প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বেলকুচি প্রেসক্লাবের নামে আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দমেলায় প্রবেশ টিকিট বিক্রি ও অবৈধ লটারির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আয়োজকরা প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১১সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক বরাবর ১৫ দিন সময় বর্ধিত করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন আয়োজক কমিটি।
এদিকে মাসব্যাপি আনন্দ মেলাটি ঘনবসতি ও আশেপাশে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা মন্দির হওয়ায় গত ৫ সেপ্টেম্বর মেলা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মানবাধিকার কর্মী এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মেলায় প্রবেশের জন্য প্রতিজনকে ২০ টাকা পর্যন্ত টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের কাছ থেকে লটারির নামে টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। আকৃষ্ট করার জন্য পুরস্কারের প্রচারণাও চালাচ্ছে আয়োজকরা।
স্থানীয় রাজনীতি ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজ জানান,
বর্তমান দেশের পরিস্থিতি প্রশাসনের শৃংখলার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে, একের পর এক দেশে
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই পরিস্থিতির মধ্যে বেলকুচি পৌরসভার চালা আদালত পাড়া একটা ঘনবসতি এলাকার মধ্যে মাসব্যাপী আনন্দমেলা অনুমোদন দেওয়া ঠিক হয় নাই।মেলায় আগত যুবক থেকে
 সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ আসে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।এমন
  কি প্রতিনিয়তই ছোট খাটো মারামারি হচ্ছে কখন জানি এই ছোটখাটো ঘটনা কে কেন্দ্র করে বড় ধরনের ঘটনা রূপ নেই,প্রশাসন দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই মেলার বন্ধ করে দেওয়া হোক।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়েই দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে আয়োজকরা। এতে সাধারণ মানুষ আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এবং সমাজে জুয়া প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেলার নামে শিশু-কিশোরদের প্রলুব্ধ করে লটারির টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন বিষয়টি দেখেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) আফরিন জাহান বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় আজই টিকিট বিক্রি বন্ধের কথা মেলার আয়োজক কমিটিদের বলে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম।  ইউএনওকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলে দিচ্ছি। এক্ষেত্রে অবৈধ আয়ের কোন সুযোগ নেই। মেলার সময় বৃদ্ধির জন্য এখনো ফাইল হাতে পাইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial