
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান।
গত শনিবার ঈদুল আজহার দিন হুমায়ূন কবীর লিয়াকতের দলে থাকা ভাই-ভাতিজাদের নবীর হোসেন চুন্নুর দলে নিয়ে সেখান থেকে সামাজিকভাবে বিলি করা কোরবানির মাংস গ্রহণ করেন।
কোরবানির মাংসের ভাগ নেওয়ার জেরে গত রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বানিয়াড়ী গ্রামের ছাকেনের চায়ের দোকানের সামনে কৃষক দল নেতা লিয়াকত হোসেন মাস্টারসহ তার সমর্থকদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর হোসেন চুন্নুর সমর্থক হুমায়ুন কবিরসহ তার পরিবারের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে লিয়াকতরা হুমায়ুন কবিরসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়।
এ হামলায় মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হুমায়ূন কবীরকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় আরো আহত হন হুমায়ুন কবিরের বড় ভাই মোস্তফা মোল্লা (৫৮), তার মেয়ে বেনি বেগম (২৩) ও এক ভাগিনা। তারা বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমান বাড়িতে অবস্থান করছেন। হামলায় নিহত হওয়া হুমায়ূন কবীর নবীর হোসেন চুন্নুর সমর্থক ছিলেন।
বুধবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহামুদুল হাসান বলেন, কোরবানির মাংস নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভ্যানচালক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে লিয়াকত মাস্টারকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।