ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, তবে ২৬’র জুনের পরে হবে না : প্রধান উপদেষ্টা

ড. ইউনূস স্পষ্ট করে জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অর্থনীতি ও রাজনীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংক খাত স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুর্বল। বিপ্লবের নয় মাস পরও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়নি।”

চলতি বছরের ডিসেম্বরেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, তবে ২০২৬ সালের জুনের পরে নয়—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস স্পষ্ট করে জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অর্থনীতি ও রাজনীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংক খাত স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুর্বল। বিপ্লবের নয় মাস পরও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়নি।”

আসন্ন নির্বাচনের পথ সুগম করতে ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি ঐকমত্য ভিত্তিক দলিল প্রণয়ন করা হবে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তৈরি হবে বলে জানান ইউনূস। তবে তিনি স্বীকার করেন, “একমত হওয়া সহজ বিষয় নয়। কমিশন গঠনের ক্ষেত্রেই মতপার্থক্য রয়েছে।”

বিশেষ করে নারী সংস্কার কমিশন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কমিশনটি ইসলামী উত্তরাধিকার আইনে নারীর অধিকারের সুপারিশ করলে ইসলামপন্থী দলগুলো তীব্র বিক্ষোভ শুরু করে। এছাড়া কেউ কেউ তৈরি পোশাক বা শিক্ষা খাতকে যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “১২ মে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করেছে। ফলে দলটি এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।”

এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। তবে ড. ইউনূসের আশাবাদ—“নতুন বাংলাদেশ গঠনে আমরা শেষ পর্যন্ত ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial