
জাহাঙ্গীর আলম, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের ৩ সদস্যের একটি দল গতকাল রোববার বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেডে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে বিভিন্ন বিষয়ে ব্রিফ করেন টিম প্রধান কিশোরগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মাহাথির মোহাম্মদ সামী। এ সময় তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে বাজিতপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অভিযান পরিচালনা করি।
আমরা আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করি এবং রোগীদের সাথে কথা বলি। প্রাথমিকভাবে যেটুকু পেয়েছি তাহলো রোগীদের নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে।
সরজমিনে খাবার দেখতে গিয়েছি এবং সেখানে গিয়ে দেখেছি যে মাছ দেওয়ার কথা সে মাছ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি টেন্ডারে উল্লেখিত মাছও দেওয়া হচ্ছেনা। সে বিষয়গুলো আমরা নোটিশ করেছি। টেন্ডারসহ সকল ডকুমেন্টস সংগ্রহ করেছি। এগুলো পরবর্তীতে প্রতিবেদন আকারে কমিশনে পাঠানো হবে এবং কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, টেন্ডারের বেশি মূল্যে খাবার সরবরাহের অনুমতি প্রদান। রোগীদের নিম্নমানের খাবার প্রদান, সরকারি কোয়ার্টারে না থেকে বাসা অন্যত্র বাড়া দেওয়া, দালাল দিয়ে সরকারি হাসপাতালের রোগীকে অন্য
বহিঃবিভাগ অভিযান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন কিশোরগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মাহাথির মোহাম্মদ সামী
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করা এবং ভুয়া ভর্তি দেখিয়ে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করা। আমরা সবগুলো অভিযোগ চেক করেছি তার মাঝে শুধু নিম্নমানের খাদ্য প্রদানের সত্যতা পেয়েছি।
এছাড়া যারা রোগী আছেন তাদের সাথে কথা বলে যেটুকু জানতে পেরেছি এখানে প্রধান সমস্যা হচ্ছে যথেষ্ট জনবল নেই। ডাক্তারের পরিমান প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহের বিষয়ে বর্তমান উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাজমুস সালেহীন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিষয়টার যেহেতু চাক্ষুষ প্রমান পেয়েছি সুতরাং খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্টানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিবো। যেনো কাল থেকেই ভালো মানের খাবার সরবরাহ করেন তা নাহলে তার সাথে চুক্তি টারমিনেট করে দিবো এবং নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করবো।