প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ২০, ২০২৫, ৫:১৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ৬:০৯ অপরাহ্ণ
বেলকুচি মডেল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্তসহ তিন শিক্ষকের দুই পরীক্ষার্থী,সেই দুই পরীক্ষার্থী ফেল,জিপিএ ৫ পায়নি কেউ

তামজিদ রিয়াল স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকায় অবস্থিত
বেলকুচি উপজেলা সংলগ্ন বেলকুচি মডেল ডিগ্রি কলেজের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে,মডেল কলেজের ২৮ বছরের সফলতা ২০২৫ সালে শেষ,
চলতি বছরে পাশের চেয়ে ফেলের সংখ্যা দ্বিগুণ।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এ বছরে ৩৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩১৬ জন মডেল ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষার্থী এবছরে এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, ৩১৬ জনের মধ্যে ৫৭ জন পাস করেছে। ফলে কলেজটির মোট পাসের হার দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ০৪ শতাংশ।বৃহস্পতিবার দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা ও একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করেন বেলকুচি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে বেলকুচি মডেল ডিগ্রি কলেজ, উল্লেখ ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পাসের হার ছিলো ৫০ থেকে ৫২ শতাংশ। চলতি বছরে পাসের হার মাত্র ১৮, শতাংশ অত্যন্ত খুব লজ্জার,বেলকুচি উপজেলার সকল কলেজের মধ্যে সর্বনিম্ন পাসের হার এই মডেল ডিগ্রি কলেজের।শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা ও ক্লাস না নেওয়ার কারণে এমন অবস্থা হয়েছে স্থানীয় ও অভিভাবক তারা মনে করেন।অভিভাবকরা আরো বলেন দুঃখজনক বিষয় কমার্স সাইন্স থেকে কেউ পাশ করতে পারে নাই,কমার্সের দুই শিক্ষার্থীর তিনজন শিক্ষক,সেই দুই পরীক্ষার্থী ফেল এটা কি ভাবা যায়।তিন শিক্ষকের দুইশিক্ষার্থী ফেল করে,সাইন্সের ১২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জন ফেল।ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অবহেলার কারণে এমন ফলাফল হয়েছে পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা মনে করেন।
একাধিক শিক্ষার্থী বলেন কলেজে নিয়মিত ক্লাস হয় না,কলেজের পরিবেশ আগের মতো নাই,দিন যাচ্ছে কলেজে লেখা পড়ার মান নষ্ট হচ্ছে।শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে সব সময়। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা সময় মতো ক্লাস নিতে আসে না,কলেজের শিক্ষকরা বেশির ভাগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর অফিস রুমে বসে থাকেন।ক্লাস রুমে উপস্থিতি ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কম থাকলে ক্লাস নেওয়ার জন্য অনহিয়া প্রকাশ করেন
শিক্ষকরা।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম হোসেন বলেন এ বছরে
কলেজের ফলাফল ভালো না, ৩১৬ জন পরীক্ষার্থী এ-র মধ্যে ৫৭ জন পাস করেছে। শিক্ষার্থীরা বই কেনে নাই, ঠিক মতো ক্লাসে আসে না এদের ধারায় আর তো ভালো রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব না, আমার মনে হয় এই কলেজ থেকে দশজন পাস করলে আরো ভালো হতো, শিক্ষার্থীরা বুঝতো পড়ালেখা না কারলে কি হয়।
বেলকুচি মডেল ডিগ্রি কলেজের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খান আলিম তিনি পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য মক্কা মদিনায় গিয়েছেন সেই জন্য প্রতিবেদনে সভাপতির সাক্ষাৎ নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
Copyright © 2025 Manobkothon. All rights reserved.